আসসালামু আলাইকুম। আজকে যে বিষয়য় নিয়ে শুরু করবো তা হলো নতুন হিসেবে কি শুরু করবেন? কোনটা করলে ব্যাটার হয়? আরেহ ওই তাঞ্জিম আপু এই কাজটা করতেছে আমিও এটা করি তাহলে ভালো হবে? সাক্সেস হবো? শো অফ করতে পারবো। হ্যা তাঞ্জিম আপুরটা শুরু করে দেই। ওলে লে লে, ওয়ামিম ( তাঞ্জিমের স্বামী ) উনি তো জনি সিন্সের মত ভালোই পারফর্ম করতেছে আমিও তার মত করি? ওয়াও আমিও একদিন জনি সিন্স হয় যাবো। এসব ধারনা মাথা থেকে দূরে সরান। তা না হলে কিছুই হতে পারবেন না। হ্যা পারবেন কিন্তু,,,, আচ্ছা যাই হোক। আমার প্রধান কথা হচ্ছে, নিজেকে খুঁজুন, নিজের পথে চলুন, তাহলে সাক্সেস হতে পারবেন। – যদি মনে করেন, আমিও একদিন বিল গেটস হবো। আমি এই টাইপসের হবো। মানে আমিও একদিন ফয়সাল আহমেদ হবো, টাইগার ম্যাট হবো, শাহী মির্জা হবো। আমি এই টাইপসের কথা গুলোর সাথে একমত হতে পারিনা। কারন আপনি কেনো ফয়সাল আহমেদ,টাইগার ম্যাট,শাহী মির্জা হবেন? তাদের থেকে ভালো কিছুও তো হতে পারেন? ইভেন, তাদের মত হতে হবে এমন কোনো কথা আছে? আর আপনি যে তাদের মত হতে পারবেন এমন কোনো গ্যারান্টি দিতে পারবেন? উপরে যাদের কথা বলছি, তারা তাদের যায়গায় পারফেক্ট আর আপনি আপনার যায়গায়। দুনিয়ায় ফয়সাল আহমেদ কিংবা টাইগার ম্যাট দ্বিতীয় জন হতে পারে না। এক পিস করেই। বাই দ্যা ওয়ে, এবার আসল কথায় আসি। আপনি দেখুন, আপনি কোন বিষয়ে ভালো। কোনটা করতে আপনার ভালো লাগে। কোনটায় আপনি পারদর্শী? একটু চিন্তা করুন। ওইযে যে কথা বললাম একটু আগে? নিজেকে খুঁজুন, নিজের পথে চলুন? হ্যা সে বিষয়টা। আপনি যদি ভালো কমিডিয়ান হয়ে থাকেন, তাহলে ইউটিউব তো আছেই, আর সোশাল মিডিয়া তো আছেই। সো পরে কি হবে বুঝতেই পারছেন। আপনি যদি ভালো কম্পিউটার চালাতে পারেন তাহলে কম্পিউটারের মধ্যে অনেক কিছুই জড়িত। কারন প্রেজেন্ট ওয়ার্ল্ড অনেকটা কম্পিউটার এর উপর নির্ভর করে আমার জানামতে। কারন কম্পিউটারের মাধ্যমে অনেক কাজ সংগঠিত হয়। আমি শুধু মাত্র ৫ টি বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা শেষ করতে চাই। নিম্নে ৪ টি টপিক দেওয়া হলো, যা বর্তমানে হট টপিক। ১) প্রোগ্রামিং ২) ওয়েব ডেভেলপিং/ডিজাইন ৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন ৪) ওয়েব সিকিউরিটি প্রোগ্রামিং শিখতে সি.এস.ই তে পড়া লাগে না। কমার্সে কিংবা আর্টসে যে বিভাগেই হোন না কেনো, বিভাগ ডাজেন্ট ম্যাটার। নতুন হিসেবে কি দিয়ে শুরু করবেন? সব তো শিখা সম্ভব না সবার জন্য। তো প্রোগ্রামিং যদি শিখতে চান তাহলে শুরু করেই ফেলুন? বিভিন্ন বাংলা ই-বুক আছে প্রোগ্রামিং শিখার জন্য। গুগুলে সার্চ দিলেই পাবেন। না পেলে কমেন্ট করুন। কারো প্রয়োজন হলে পোস্ট করে দিবো। যদি মনে করেন প্রোগ্রামিং শিখতে গেলে অনেক সময় লাগবে, অনেক কঠিন, ডিমান্ড কি রকম? হ্যা সময় দেওয়া লাগবে, পাশাপাশি আপনার ধৈর্য থাকা লাগবে। এবার আসি কঠিন এবং ডিমান্ডের কথায়। কঠিন: “জটিল করলে জটিল হবে সহজ করলে সহজ হবে” আপনি চিন্তা করে দেখুন। আমরা যদি কোন একটা paragraph শিখতাম তখন কিন্তু নরমালি সবার শিখা হতো না। তো আমরা কিন্তু মুখস্ত করার জন্য এক এক জন এক এক ভাবে মুখস্ত করে। হয়ত পুরোটা বার বার পড়ে কিংবা এক লাইন এক লাইন করে অথবা খাতায় লিখে, চোখ বন্ধ করে। যাই হোক এক এক জন এক এক ভাবে শিখতাম? আমাদের শিখার কিন্তু কিছু থিওরি আছে, এটা সত্য। কারো না থাকলেও আমার ছিলো। এই কথা বলার কারন হচ্ছে, আমাদের শিখার এনগেল তো আলাদাই। আমরা যে যেভাবে পারি সেভাবে শিখে নেই? কঠিন তো হবেই। এর থেকে কঠিন এই সার্থপর দুনিয়াটা। কঠিন বলে শিখা অফ করবেন কেনো? একবার যেহেতু শুরু করছেন, তো শেষটাও করে ফেলুন? এবার আসুন ওয়েব ডেভেলপিং/ডিজাইনিং এর ম্যাটার নিয়ে। ১৩ বছরের বাচ্ছাও woo-commerce এর স্ক্রিপ্ট দিয়ে ডেভেলপার/ডিজাইনার/কন্টেন্ট ডট ডট/স্ক্রিপ্ট ডট ডট। তাহলে আপনি বুড়া হয়েও…? ওয়েব ডেভেলপিং কিংবা ডিজাইনিং এতো কঠিন কিছুনা। গুগুল এবং ইউটিউব অলওয়েজ আপনার পাশে আছে। কি সমস্যা? আর কি হেলপ লাগবে? আমার মতে শুরু করলে php,html,css এই ৩টা কোড শিখা শুরু করতে পারেন। কারন আমার মতে নুব হিসেবে এই ৩ টা কোড দিয়ে শুরুটা ভালোই যাবে। ওয়ার্ড প্রেস ডিজাইনিং এখন অনেকটা সহজ বাকি প্লাটফর্ম থেকে। কাস্টমাইজেশন থেকে শুরু করে থিম ডিজাইন করতে পারবেন ওই উপরের ৩টা কোড সহ আর ২-১টা কোড দিয়ে। তো যদি আসেন ডিমান্ডের কথায়। এই ডিমান্ড ঝালাচ্ছে। ওরে এখানেই কবর দিয়ে যাই। ডিমান্ড: ডিমান্ডের কথা আপনার চিন্তা করা লাগবে না। আপনার স্কিল থাকলে এনাফ। তখন ডিমান্ড আপনার সামনে এসে হাজির থাকবে। আপনার খুঁজা লাগবে না। গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব সিকিউরিটি। আমি যে ৫টি টপিক নিয়ে আলোচনা করতেছি সব গুলোর ডিমান্ড কিন্তু অনেক। প্রায় সব ক্যাটাগরি তে এদের পাবেন। কোন না কোন ভাবে এরা যুক্ত আছেন। এডোব সি এস ৬ ইন্সটল করে ফেলুন। ইউটিউবে সি এস ৬ এর হাজারো টিউটোরিয়াল আছে। আমার মনে হয়, ইউটিউব এর টিউটোরিয়াল গুলো নতুনদের গ্রাফিক্স শিখার জন্য এনাফ। ওয়েব সিকিউরিটি, এই টপিক নিয়ে বেশী কিছু আলোচনা করতে চাই না। কারন বর্তমানে সব কোম্পানির ওয়েব আছে। যে সাইট গুলোতে তাদের প্রয়োজনীয় ডাটা থাকে। এই ডাটা প্রটেক্ট করতে। কিংবা উক্ত কোম্পানির কোন ত্রুটি থাকলে উক্ত ত্রুটি তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে অনেক এওয়ার্ড পাওয়া সম্ভব। তো, ওয়েব সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করতে চাইলে, গুগল,ইউটিউব সহ বিভিন্ন ফোরাম রয়েছে। তাছাড়া আমাদের দেশের অনেক সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট আছে যারা সর্বদা হেলপ করতে প্রস্তুত। সবাই না আবার। আর আপনার হেলপ এর ধরনটা ভালো থাকতে হবে। শুধু শুধু ইনবক্সে “ভাই আমি শিখতে চাই, শিখাই দেন” এই টাইপস এর কথা বলে লাভ হবে না। ভাই দেখেন তো, আমি এই জায়গায় এসে আটকে গেছি। গুগল এবং ইউটিউব দেখেও বুঝতেছি না। একটু প্রবেলেমটা ধরে দিবেন? একটু সলুউশন দিবেন? আমি বলতে পারি, ৯৫% মানুষ আপনাকে হেলপ করবে যদি তারা বেশী ব্যাস্ত না থাকে। তাছাড়া কাংখিত ৪ টা টপিক ছাড়া আরো কিছু বলতে চাই। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে পড়ে থাকুন। আজ না হোক কাল, কিন্তু একটা সময়ে আপনি সে বিষয়ে সাক্সেস হবেন। কমিডি ভালো পারেন? ইউটিউব আপনার প্রতিভা প্রকাশ করতে সর্বদা প্রস্তুত। নাচতে পারেন? গাইতে পারেন? ইংলিশে ভালো পারেন? গনিত ভালো পারেন? কেমিস্ট্রি ভালো পারেন? আপনার মাঝে প্রতিভা আছে। হয়ত সেটা লুকিয়ে আছে। প্রকাশ করুন। কিছুনা কিছু তো পারেন? সেটা যাই হোক, যে বিষয়ে ভালো পারেন সব সময় সেটা করার ট্রাই করুন। আর যদি মনে করেন আপনি কাজ করতে কিংবা শিখতে বোরিং হয়ে যাচ্ছেন। তাহলে আপনি উক্ত কাজ করা কিংবা শিখাটাকে ইনজয় করুন। তাহলে আর বোরিং হতে হবে না। আর আপনার ইচ্ছা শক্তি যেনো দৃঢ় থাকে। আর সব সময় নিজের যোগ্যতা ডেভেলপ করতে থাকুন। ওকে, আমিও নতুন। পোস্টে ভুল থাকতে পারে। সো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আবার দেখা হবে অন্য একদিন। মোটিভেশন পোস্ট বলতে পারেন এইটা।
source http://b4byb0y.com/tech-hacking/3438/
0 Comments